বুধবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৪

শীতের দিনে বৃষ্টি, প্রকৃতির বিরূপ সৃষ্টি

আমি একটা জিনিস এখনও বুঝে উঠতে পারিনি যে মানুষ শীতে বেশি কাবু হয় নাকি গরমে বেশি কাহিল হয়। যখন গরমের তীব্রতা বেড়ে যায় তখন মনে হয় নাহ্ শীত-ই ভালো। গায়ে কম্বল ঝাপিয়ে আরামে শুয়ে থাকা যায়। কিন্তু ঘর থেকে বের হতে বললেই মানসিক অবস্থা বিগড়ে যায়। কনকনে শীতে শরীরের হাড়শুদ্ধ টনটন করে। শীতল নিঃশ্বাস নাকের ছিদ্র ভেদ করে সরাসরি মস্তিষ্ক পৌঁছামাত্র মাথাব্যাথা শুরু হয়। শরীর ও মন নিস্তেজ হয়ে পড়ে। সর্বক্ষণ অলসতা শরীরকে দুর্বল করে তোলে। ঐ কনকনে শীতে যখন আবার ইলশেগুঁড়ি ঝড়ে তখন মড়ার উপর খাড়ার ঘা এর মতো হয়। জীবনযাপন অসহনীয় হয়ে উঠে। ঠিক সেই মুহূর্তে গরমের কথা অনুভূত হয়। গরমের দিনে অস্বস্তি বোধ হয় কিন্তু শরীরের রক্ত চলাচল বেড়ে যায়। জীবন যাপনে  গতি নিয়ে আসে। আবার গরমে যখন প্রাণ ওষ্ঠাগত হয় তখন শীতের দিনের স্নিগ্ধ সকাল ভালোভাবে অনুভূত হয়। তাই এখনও উভয়ের মধ্যে শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট কাউকে দেয়া আমার পক্ষে সম্ভব হয়নি।

মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৪

কষ্টই যত নষ্টের মূল

মানুষকে সেই পরিমাণ কষ্ট দিওনা যে পরিমাণ কষ্ট তুমি সহ্য করতে পারনি। তবে অপরকে ততটা আনন্দ দেওয়ার চেষ্টা কর যতটা তুমি অন্যের কাছ থেকে পাওনি। আর এটাই মানুষের ধর্ম হওয়া উচিৎ। কিন্তু হয় উল্টোটা। মানুষতো আসলে সব এক নয়। তাইতো এত আইন, ধর্মের উৎপত্তি। ধর্ম মানুষকে নৈতিক কাজ করতে বাধ্য করে। যখন নীতি নৈতিকতা ভুলে মানুষ হিংস্র হয়ে উঠে তখনই প্রয়োজন হয় আইন আর তার প্রয়োগ।