গণতন্ত্র মানে
সাধারণ জনগণের প্রভাব যে তন্ত্রে উপস্থিত। কিন্তু আমাদের এখন যে শাসন বা সরকার ব্যবস্থা
প্রচলিত তাকে যদি গণতন্ত্র বলা হয় তবে আমি বলব এটিই পৃথিবীর সবচেয়ে নিকৃষ্ট শাসন ব্যবস্খা।এটা
মনের দুঃখে বলতেছি ভাই। সেইদিন রাত দশটার সময় পুলিশ সার্জেন্ট মেট্রোপলিটন পুলিশের
সামনে আমরা এক লোকাল বাসভর্তি সাধারণ যাত্রীদের গাড়ি থেকে নামিয়ে দিল স্বৈরাচারের
মতো করে। আমরা এতো অনুরোধ করলাম যে ভাই আমাদের অন্তত নিকটবর্তী কোন স্টেশনে নামিয়ে
দিয়ে আসুক, এত রাত্রে আমরা কোথায় যাব? গাড়ি
খালি পাব না। তবুও তারা গাড়ির ডিউটি আছে বলে গাড়িটি নিয়ে গেল। এইরকম শত শত অন্যায় অত্যাচার
প্রতিনিয়ত সাধারণ মানুষ সহ্য করতেছে। প্রতিবাদের কোন সুযোগ নেই। এ কোন দেশে বাস করতেছি
আমরা? ভাবতেই ঘৃণা হয়। এই ধরণের গণতন্ত্র আমরা চাই না। গণতন্ত্রের কথা বলে শব্দটিকে
বিকৃত করবেন না।
বৃহস্পতিবার, ২৯ জানুয়ারী, ২০১৫
সোমবার, ২৬ জানুয়ারী, ২০১৫
আচ্ছা আমি এতটা দ্বিধাগ্রস্থ কেন? দয়া করে আমার সমস্যাটা একটু দেখুন.....
আমি প্রায় সময়ই বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দোটানায় পড়ে যায়। বোঝে উঠতে পারি না কেন এমন হয় কিংবা কোনটা ভালো আর কোনটা খারাপ, কোনটা সঠিক আর কোনটা ভুল, কোনটা যৌক্তিক আর কোনটা অযৌক্তিক, কোনটা করা উচিত আর কোনটা অনুচিত, কোনটা ভাবা উচিত আর কোনটা ভাবা আদৌ উচিত নয়। এই যেমন, আমি একটা জায়গায় গিয়ে আটকে গেলে বা বিপদে পড়লে ভাবি, আচ্ছা বিপদটা কি আমি আসার কারণে হয়েছে নাকি আমি নিজেই এই বিপদে পা দিয়েছি? আমি কি বিপদটা এড়িয়ে যেতে পারতাম নাকি বিপদটা আমার কপালে লেখাই ছিল? এই ধরনের প্রশ্ন মাথায় ঘোরপাক খেতে থাকে। আবার আমি কাউকে কিছু দান করলে ভাবি আচ্ছা জিনিসটা কি তার কপালে লেখা ছিল নাকি দানটা আমার দেওয়ার ছিল? কারণ আমি তো সবাইকে দিচ্ছি না। হয়ত তখন আমার দান করার কথা ঠিক ঐ সময় লোকটা এসে পড়ল কারণ এটা তার কপালে ছিল। সত্যি বলতে কি প্রতিটি বিষয়ে এভাবে চিন্তা করতে করতে কখন যে আমি আমার মস্তিষ্কের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছি খেয়ালই করিনি। আপনি যখন খুব বেশি চিন্তা করবেন তখন মস্তিষ্কের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলবেন। কারণ মস্তিষ্ককে নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে একমুখী চিন্তা করতে হবে অর্থাৎ একসাথে একাধিক চিন্তা করলে মস্তিষ্ক সন্দিহান হয়ে পড়ে। যে কোন বিষয়ের উপর আত্মবিশ্বাস থাকতে হবে।তখন মস্তিষ্ক আপনাকে দ্রুত এবং নির্ভুল(আপনার বিচারে) ফলাফল দিতে সক্ষম হবে। তবে হ্যাঁ বিচারিক ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে যদি সবগুলো প্রশ্নকে একসাথে করে যাচাই-বাছাই করে একমুখী করতে পারেন। আপনি একসাথে খারাপ আর ভালো কিংবা সঠিক আর ভুল বলতে পারেন না।
দার্শনিক মাত্রই ভাবুক, চিন্তাশীল তবে চিন্তাশীল মাত্রই দার্শনিক নয়।
দার্শনিক মাত্রই ভাবুক, চিন্তাশীল। প্রতিটি বস্তু বা বিষয় নিয়ে তারা গভীর চিন্তায় মগ্ন হয়। কিন্তু চিন্তা করার জন্য দরকার শান্ত পরিবেশ আর উত্তম আর্থিক অবস্থা। কারণ চিন্তা আমরা অনেকেই করি তবে বেশিরভাগই দুশ্চিন্তা। হয় কেউ আমাকে মেরে ফেলতেছে নয়তো আমি কাউকে খুন করে ফেলতেছি। কোন একটা জিনিস আমাকে তাড়া করছে আর আমি উসাইন বোল্টের গতিতে দৌড়াচ্ছি বিরামহীন যেন দম নেওয়ার সময় নাই। তারপর হঠাৎ করে ঘুম ভেঙ্গে দেখি সব-ই ছিল কাল্পনিক অর্থাৎ স্বপ্ন। শুরু হয় মাথাঘোরা, বুক ধরফড় আরো কত কি। যেন স্বপ্নের কোনো ঠিক ঠিকানা নেই। সত্যি বলতে কি মানুষ দিনে যেটা নিয়ে ভাবে বা পরিকল্পনা করে রাত্রে তা-ই দেখে থাকে। এতে তার কোনো দোষ নেই। যেমন কারো সাথে বাসে তর্কাতর্কি হলো যেটা পরবর্তীতে মারাত্মক আকার ধারণ করল। রাত্রে বাসায় ফিরে কোনোমতে ভাত একটু মুখে পুরে কারো সাথে কথা না বলে সহসা ঘুমিয়ে পড়ল। ঘুমের ঘোরে স্বপ্ন দেখতে লাগল সে ঐ লোকটাকে লাঠি দিয়ে কুত্তার মতো পিঠাতে লাগল। মারতে মারতে ক্লান্ত হয়ে পড়ল। ঘুম ভাঙ্গার পর দেখতে পেল ক্লান্ত হয়ে পড়ল ঠিক-ই কিন্তু মারামারি করে নয় উত্তেজনায়। বলছি, আমরা বেশিরভাগ-ই স্বপ্ন দেখি উহাই যা আমরা দিনে ভেবে থাকি। তাই চেতন অবস্থায় সৃষ্টিশীল কোন বিষয় নিয়ে ভাবুন দেখবেন রাত্রেও তা-ই স্বপ্ন দেখবেন। আবার চিন্তা করলেই যে আপনি দার্শনিক হয়ে যাবেন তাও ভাবার কোন সুযোগ নেই। কারণ তার জন্য চাই প্রতিভা যেটা আপনার মধ্যে থাকতেও পারে আবার নাও থাকতে পারে। সুতরাং চিন্তাশীল হউন এবং নিজের প্রতিভার খোঁজে অনুসন্ধান করুন ।কথায় আছে না- “যেখানে দেখিবে ছাই, কুড়ায়ে দেখিবে তাই
পাইলেও পাইতে পারো অমূল্য রতন।”
পাইলেও পাইতে পারো অমূল্য রতন।”
এতে সদস্যতা:
পোস্টগুলি (Atom)