দার্শনিক মাত্রই ভাবুক, চিন্তাশীল। প্রতিটি বস্তু বা বিষয় নিয়ে তারা গভীর চিন্তায় মগ্ন হয়। কিন্তু চিন্তা করার জন্য দরকার শান্ত পরিবেশ আর উত্তম আর্থিক অবস্থা। কারণ চিন্তা আমরা অনেকেই করি তবে বেশিরভাগই দুশ্চিন্তা। হয় কেউ আমাকে মেরে ফেলতেছে নয়তো আমি কাউকে খুন করে ফেলতেছি। কোন একটা জিনিস আমাকে তাড়া করছে আর আমি উসাইন বোল্টের গতিতে দৌড়াচ্ছি বিরামহীন যেন দম নেওয়ার সময় নাই। তারপর হঠাৎ করে ঘুম ভেঙ্গে দেখি সব-ই ছিল কাল্পনিক অর্থাৎ স্বপ্ন। শুরু হয় মাথাঘোরা, বুক ধরফড় আরো কত কি। যেন স্বপ্নের কোনো ঠিক ঠিকানা নেই। সত্যি বলতে কি মানুষ দিনে যেটা নিয়ে ভাবে বা পরিকল্পনা করে রাত্রে তা-ই দেখে থাকে। এতে তার কোনো দোষ নেই। যেমন কারো সাথে বাসে তর্কাতর্কি হলো যেটা পরবর্তীতে মারাত্মক আকার ধারণ করল। রাত্রে বাসায় ফিরে কোনোমতে ভাত একটু মুখে পুরে কারো সাথে কথা না বলে সহসা ঘুমিয়ে পড়ল। ঘুমের ঘোরে স্বপ্ন দেখতে লাগল সে ঐ লোকটাকে লাঠি দিয়ে কুত্তার মতো পিঠাতে লাগল। মারতে মারতে ক্লান্ত হয়ে পড়ল। ঘুম ভাঙ্গার পর দেখতে পেল ক্লান্ত হয়ে পড়ল ঠিক-ই কিন্তু মারামারি করে নয় উত্তেজনায়। বলছি, আমরা বেশিরভাগ-ই স্বপ্ন দেখি উহাই যা আমরা দিনে ভেবে থাকি। তাই চেতন অবস্থায় সৃষ্টিশীল কোন বিষয় নিয়ে ভাবুন দেখবেন রাত্রেও তা-ই স্বপ্ন দেখবেন। আবার চিন্তা করলেই যে আপনি দার্শনিক হয়ে যাবেন তাও ভাবার কোন সুযোগ নেই। কারণ তার জন্য চাই প্রতিভা যেটা আপনার মধ্যে থাকতেও পারে আবার নাও থাকতে পারে। সুতরাং চিন্তাশীল হউন এবং নিজের প্রতিভার খোঁজে অনুসন্ধান করুন ।কথায় আছে না- “যেখানে দেখিবে ছাই, কুড়ায়ে দেখিবে তাই
পাইলেও পাইতে পারো অমূল্য রতন।”
পাইলেও পাইতে পারো অমূল্য রতন।”
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন