শুক্রবার, ৩ অক্টোবর, ২০১৪

এক হিন্দু ছেলের অযৌক্তিক কথাবার্তার প্রতিবাদস্বরূপ এই পরিচ্ছেদটা লিখলাম। দয়া করে মন দিয়ে পড়বেন।



এক হিন্দু ছেলের অযৌক্তিক কথাবার্তার প্রতিবাদস্বরূপ এই পরিচ্ছেদটা লিখলাম।মুর্তি পূজাকে বৈধতা দিচ্ছ যে বৈধতা নিজের ধর্মও দেয়নি আরে মিয়া নিজের ধর্মকে আগে জানো পরে অন্যের ধর্ম নিয়ে টানাটানি করবে তোমাদের বিশ্বাস কি এতই দূর্বল, এতই অস্থির  যে ভগবান কে বিশ্বাস করার জন্য কিংবা মনের স্থিরতার জন্য তার প্র্রতিমূর্তি বানাতে হয়? আরে ভাই না দেখে বিশ্বাস করাটাই তো ইমান আপনারা ইতিহাস পড়লে দেখবেন যে আরবরা ছিল সবচেয়ে হিংস্র এবং বর্বর জাতি অথচ বর্বর জাতিকে হেদায়েত করতেই আল্লাহর নবী  এসেছেন পৃথিবীর বড় বড় ধর্মীয় কিতাবে আল্লাহর নবীর নাম এসেছে খোদ আপনাদের ধর্মগ্রন্থতেই আল্লাহর নবীর নাম আছে কিভাবে আপনারা এটা বানোয়াট ধর্ম অপপ্রচার আমরা করি না, আপনারা হিন্দুরাই করেন আমি কোন ধর্মই ঘৃণা করি না কিন্তু এই শুভ্র সাহেব উর্মিকে ইসলাম ধর্মের প্রতি ঘৃনার সৃষ্টি করেছেন কতগুলো ফালতু কথা বলে উনার যদি উর্মিকে এতই ভালো লাগে এমনে বললেই তো হতো এতটা জঘন্য কথা বলার কি ছিল মুসলমানরা হিজাব বাধ্যতামূলক করেছে তা আপনাদের ভালো লাগে না, কারণ আপনারা বেস্যপনা ভালবাসেন আপনাদের হিন্দু মহিলারা কোমর, পিঠ দেখিযে হাটলে ভালো লাগে, তাই না? উর্মি স্কার্ফ পরে আসাতে আপনি তাকে ভালোভাবে দেখেননি তাই তার স্কার্ফ কিভাবে খুলবেন সেই ফন্দি আটলেন ভূয়া, মিথ্যা, বানোয়াট এবং বাজে রকম মন্তব্য করে আপনি হিন্দু ধর্মের কলঙ্ক কাবা শরীফের ভেতর সব মূর্তি কে বলেছে আপনাকে? প্রমাণ করতে পারবেন? কাবা শরীপ কে বানিয়েছিল আপনি বলতে পারবেন? যা জানেন না তা বলতে আসেন এটা ছিল পবিত্র ঘর যাকে মূর্তিপূজারীরা মূতি রেখে অপবিত্র করে রেখেছিল  ইসলাম আসার আগে ঐখানে অনেকগুলো মূর্তি ছিল সেই মূর্তি সেখান থেকে অপসারণ করে পবিত্র কাবার শরীফের পবিত্রতা ফেরত আনা হয়আর কোরানের উদাহরণ দিছেন এটা কোন যুক্তি হল আপনি লেখাপড়া জানা মূর্খ দেখতেছি কিসের সাথে কিসের যুক্তি দিলেন? কোরআনকে আমরা সেজদা করি না, সম্মান করি, তার পবিত্রতা বজায় রাখি যেহেতু তাতে যা আছে তা আল্লাহর কালাম, যার আসল কপি লওহে মাহফুজে সংরক্ষিত এটা তার দুনিয়াবী প্রকাশ মাত্র আমরা ভগবানে কোন প্রতিমূর্তি বানায়না কারণ আমরা মনে প্রাণে আল্লাহকে বিশ্বাস করি আপনাদের শংকা আছে তো তাই আপনাদের প্রতিমূতি বানাতে হয় আপনি বলেন পৃথিবীতে নামাজের চাইতে শ্রেষ্ঠ কোন ইবাদত আছে? দুই লক্ষ মানুষ একসাথে নামাজ পড়লে মাত্র একজনের আওয়াজ শুনতে পাবেন সবাই তার দিকে গভীর মনোযোগ দিয়ে থাকে আর বললেন এটা নবীর বানানো ধর্ম যে নবী পড়ালেখা জানত না যে নবীর কোন শিক্ষক ছিল না, যে নবীকে নবী হওযার আগেই আল-আমিন বা বিশ্বাসী বলে আখ্যা দেওয়া হয়েছিল সেই নবী নতুন নতুন কিতাব নতুন নতুন মতবাদ নিজেই বানিয়েছিলেন তাই না? এতটা অযৌক্তিক, অবাস্তব, অবান্তর এবং মূর্খসূলব কথা আপনারাই বলতে পারেন কারণ আপনারা অধিকাংশই নিজ ধর্ম সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকেন না যাও জানেন তা দিয়ে ইসলামকে হিংসা করার মনোভাব সৃষ্টি হয়, ধর্মীয় অনুভূতি সৃষ্টি হয় না যারা সত্যিকার মুসলমান তারা হিন্দু ধর্মকে হেয় করবেন না কারণ আল্লাহর নবী বলে দিয়েছেন যে যার যারা ধর্ম তার তার জন্য যে হেদায়েত পাবে সে ইসলামে আসবে আর যার প্রতি আল্লাহর নেক নজর পড়বে না সে অন্য ধর্মেই থেকে যাবে আর বললেন মুসলমানরা অবিরাম সন্তান জন্মদানের মাধ্যমে সৃষ্টি হয়েছে তাহলে আপনারা এই চেষ্টা করে দেখেন না এটা আপনাদের প্রতি অনুরোধ পৃথিবীতে মাত্র দুইটা হিন্দু রাষ্ট্র 1) ভারত আর 2) নেপাল অথচ 60 টার উপরে মুসলিম রাষ্ট্র আছে কিসের সাথে কি যুক্তি দেখান আমি বুঝি না যে ভারতীয় উপমহাদেশে সব হিন্দু ছিল সেখানে কোটি কোটি মুসলিম আসল পৃথিবীর সবচেয়ে জনবহুল দেশ ভারত জনসংখ্যা প্রায় 120 কোটি তন্মধ্যে 20 কোটি মুসলিম আর বাকিগুলো হিন্দু অথচ সম্পূর্ণ আর রাষ্ট্র মিলিয়ে এতগুলো মুসলিম নেই এরপরও আপনি বলবেন ইসলাম ধর্ম বংশবৃদ্ধির মাধ্যমে হয়েছে আপনারা ছিলেন মূর্তি পূজারি ইসলাম আসার আগে সারা পৃথিবীতে মূর্তি পূজারীর সংখ্যা বেশি ছিল। তাই আল্লাহ রাসুলকে পাঠিয়েছেন। কিন্তু সবখানে তো আর ওনার পক্ষে যাওয়া সম্ভব না তাই বিভিন্ন জায়গায় বাইরের প্রান্তে আপনাদের মতো মূর্তি পূজারী রয়ে গেছে। আপনাদের মানুষ করার জন্য আসল বড় বড় সুফী দরবেশ। নইলে আপনারাই বা কেন সুফী দরবেশদের এত শ্রদ্ধা করেন। আরব থেকে সুফি দরবেশ এসে আপনাদের এই পাপকর্ম থেকে বিরত করে মুসলিম বানিয়েছেন নাহলে এত মুসলিম আসল কোত্থেকে আপনারা হিন্দুরা মেধাবী কিন্তু গোঁড়া অর্থাৎ আদি অবস্থানকে এখনও ধরে রাখতে চান যদিও বা আপনারা বুঝেন যে এটা ঠিক না তবুও আরেকজনকে ভূল বুঝিযে নিজেদের বাপ দাদার ধর্মকে আকড়ে ধরে রাখতে চান মুসলমানরা নয় বরং আপনারা বাধ্য হয়ে সমাজ থেকে বৃহিষ্কৃত হওয়ার ভয়ে বাপ দাদার ধর্ম ছাড়তে পারতেছেন না এরকম অনেকেই আছে মুসলিম হওয়ার কারণে সমাজ থেকে বহিষ্কৃত হয়েও খুশিমতো জীবনযাপন করতেছেন আপনারা বলেন ভগবান শ্রী কৃষ্ণ স্বয়ং পৃথিবীতে এসেছেন কেন, উনি কি এতই দূর্বল যে উনাকে স্বয়ং এসে বিচ্ছৃংখল পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে হয়? উনার দূত নেই? ভগবান কখনো মানুষের রূপে আসতে পারে না এটা আপনাদের ধর্মেই আছে ভালো করে পড়ে দেখবেন আপনারা বলেন হিন্দু ধর্ম অনেক পুরাতন তবে সেখানে কিভাবে আল্লাহর নবীর নাম উল্লেখ পাওয়া যায় দয়া করে নিজের ধর্ম সম্পর্কে জানুন এবং নিজ ধর্মের কিতাব পড়ুন তবে অন্য ধর্ম সম্পর্কে বেহুদা মন্তুব্য করবেন না চাইলে আপনাদের ধর্ম সম্পর্কে অনেক কিছু বলতে পারি কিন্তু বলব না কারণ হিন্দু ধর্মকে হেয় করা আমার কাজ নয় বরং ইসলাম সম্পর্কে আপনার যে ভূল ধারণা, বিশ্বাস তা ভাঙ্গানো এবং ইসলাম সম্পর্কে সঠিক তথ্য দেয়াই আমার একমাত্র উদ্দেশ্য কিছু মনে করবেন না আপনার কথাগুলো খুব কট্টরপন্থি হয়ে গিয়েছিল তাই কমেন্ট না করলে নিজের প্রতি অপরাধ বোধ হত তাই কমেন্ট করলাম আল্লাহ আপনাকে হেদায়েত করুন কাউকে সাহায্য করার আগে যে সে সত্যিই সাহায্যের উপযুক্ত কিনা যদি না জেনে না বুঝে দিয়ে দেন তবে সে ঐটাকে পেশা হিসেবে গ্রহণ করবে এবং পেশার বিস্তৃতি ঘটাবে বাংলাদেশে ভিক্ষুক বৃদ্ধির পেছনে এটাই প্রধান কারণ এমন অনেক ভিক্ষুক আছেন যারা আর্থিকভাবে স্বচ্ছল এদের বেশিরভাগ- বাইরের জেলার যাদের নিজ বাড়িতে যথেষ্ট বসতভিটি এবং সম্পত্তি আছে অর্থাৎ বাংলাদেশে ভিক্ষুক বৃদ্ধির পেছনে মূলত আমরাই দায়ী আমরা ভাবি যে দুই টাকা দিলে আর কি হবে কিন্তু এই দুই টাকা দিয়ে আসলে তার ভবিষ্যত এবং বাংলাদেশের বিষ্যত নষ্ট করছি কারণ একটা ভিক্ষুক মানে দেশে একজন বেকার মানুষের সৃস্টি আর বেকার মানুষ সবসময় সকল দেশের জন্য বোঝা হিসেবে আরোহিত হয় আমরা যদি তাকে দুই টাকা বা দুই হাজার না দিয়ে এক টাকা বা এক হাজার টাকা কামানোর ব্যবস্থা করে দিই তবে তার, আমার এবং সকলের জন্য মঙ্গলজনক কারণ সে যে আপনার কাছ থেকে খুজবে না তার তো কোন গ্যারান্টি নেই একবার যদি কারও হাত মেলে, লজ্জার পর্দা উন্মোচিত হয় তবে হাত আর বন্ধ হয় না অর্থাৎ ভিক্ষা করতে লজ্জাবোধ করে না তাই দেখে শুনে বোঝে সাহায্য করুন তখন সেই সাহায্য কাজে লাগবে এবং মানুষ, সমাজ দেশ উপকৃত হবে

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন