আমি একটা জিনিস এখনও বুঝে উঠতে পারিনি যে মানুষ শীতে বেশি কাবু হয় নাকি গরমে বেশি কাহিল হয়। যখন গরমের তীব্রতা বেড়ে যায় তখন মনে হয় নাহ্ শীত-ই ভালো। গায়ে কম্বল ঝাপিয়ে আরামে শুয়ে থাকা যায়। কিন্তু ঘর থেকে বের হতে বললেই মানসিক অবস্থা বিগড়ে যায়। কনকনে শীতে শরীরের হাড়শুদ্ধ টনটন করে। শীতল নিঃশ্বাস নাকের ছিদ্র ভেদ করে সরাসরি মস্তিষ্ক পৌঁছামাত্র মাথাব্যাথা শুরু হয়। শরীর ও মন নিস্তেজ হয়ে পড়ে। সর্বক্ষণ অলসতা শরীরকে দুর্বল করে তোলে। ঐ কনকনে শীতে যখন আবার ইলশেগুঁড়ি ঝড়ে তখন মড়ার উপর খাড়ার ঘা এর মতো হয়। জীবনযাপন অসহনীয় হয়ে উঠে। ঠিক সেই মুহূর্তে গরমের কথা অনুভূত হয়। গরমের দিনে অস্বস্তি বোধ হয় কিন্তু শরীরের রক্ত চলাচল বেড়ে যায়। জীবন যাপনে গতি নিয়ে আসে। আবার গরমে যখন প্রাণ ওষ্ঠাগত হয় তখন শীতের দিনের স্নিগ্ধ সকাল ভালোভাবে অনুভূত হয়। তাই এখনও উভয়ের মধ্যে শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট কাউকে দেয়া আমার পক্ষে সম্ভব হয়নি।
বুধবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৪
মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৪
কষ্টই যত নষ্টের মূল
মানুষকে সেই পরিমাণ কষ্ট দিওনা যে পরিমাণ কষ্ট তুমি সহ্য করতে পারনি। তবে অপরকে ততটা আনন্দ দেওয়ার চেষ্টা কর যতটা তুমি অন্যের কাছ থেকে পাওনি। আর এটাই মানুষের ধর্ম হওয়া উচিৎ। কিন্তু হয় উল্টোটা। মানুষতো আসলে সব এক নয়। তাইতো এত আইন, ধর্মের উৎপত্তি। ধর্ম মানুষকে নৈতিক কাজ করতে বাধ্য করে। যখন নীতি নৈতিকতা ভুলে মানুষ হিংস্র হয়ে উঠে তখনই প্রয়োজন হয় আইন আর তার প্রয়োগ।
শনিবার, ৮ নভেম্বর, ২০১৪
স্বার্থপর মানুষ সমাজের জন্য অভিশাপ
পৃথিবীতে যত যুদ্ধ, রক্তারক্তি, হানাহানি এবং মামলা-মোকদ্দমা হয়েছে বা হচ্ছে তার পিছনে প্রধানত কাজ করতেছে মানুষের স্বার্থপরতা। ইতিহাস যদি দেখেন খেয়াল করবেন এই যে পলাশীর যুদ্ধ হয়েছিল ইংরেজদের স্বার্থপর মনোভাবের কারণে। তারা অন্যায়ভাবে এদেশে একচেটিয়াভাবে ব্যবসা করে দেশীয় ব্যবসায়ীদের ধ্বংস করে দিচ্ছিল। আবার নবাব সিরাজুদ্দৌলা পলাশীর যুদ্ধে হেরে গিয়েছিলেন মীর জাফরের বেঈমানী বা স্বার্থপর মনোভাবের কারণে। তিনি শুধু নিজের চিন্তা করেছেন দেশের মানুষের কথা একবারও ভাবেন নি। যদি ভাবতেন তবে আমাদেরকে দু’শ বছর ইংরেজদের তাবেদারী করতে হত না। আমাদের দেশে যারা দূর্ণীতিবাজ রাজনীতিবিদ আছেন তারা একবারও চিন্তা করেছেন দেশের মানুষের কথা যারা তাকে মূল্যবান ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছেন। সে শুধু নিজের চিন্তা করে কার কি সমস্যা তা নিয়ে তার মাথা ঘামানোর প্রয়োজন অনুভব করে না। শুধু নির্বাচনে জেতার জন্য যা করা দরকার তা করে। মানুষ যদি একটু কষ্ট স্বীকার করে তাহলে মানুষের সেবা করা তার জন্য কোন ব্যাপার-ই না। এই যেমন যিনি প্রাইভেট কার চলাফেরা করতেছেন কিংবা ছেলেকে মাসিক দশ হাজার বেতনের স্কুলের পড়াচ্ছেন তিনি কি কখনো ঐ ছেলেটির কথা চিন্তা করেছেন যে পাঁচশ টাকার জন্য বই কিনতে পারছে না। যিনি বাথটাবে গোসল করে গ্যালনের পর গ্যালন পানি খরচ করতেছেন তিনি কি চিন্তা করতেছেন যে পৃথিবীতে মিষ্টি পানির পুঁজি অচিরেই শেষ হয়ে যাবে, আমি এভাবে পানি খরচ করলে হয়তো ভবিষ্যত প্রজন্ম খাওয়ার জন্য মিষ্টি পানি পাবে না। যিনি গ্যাসের চুলায় ঘন্টার পর ঘন্টা কাপড় শুকাচ্ছেন কিংবা বিনা কারণে ছোট করে জ্বালিয়ে রাখছেন তিনি চিন্তা করতেছেন যে পৃথিবীতে গ্যাসের মজুদ সীমিত তাই আমরা যদি সচেতন না হই, যদি গ্যাসের অপচয় করি তবে ভবিষ্যত প্রজন্ম হয়তো শীতকালে গা গরম করার জন্য গ্যাসের আগুন পাবে না। আসলে তারা শুধু নিজেদের চিন্তাই করে। অন্যের চিন্তা করার মনমানসিকতা তাদের মধ্যে সৃষ্টি হয়নি। আমি শিক্ষিত মানুষকে যতই শ্রদ্ধা করি ততটাই ঘৃণা করি। তবে সুশিক্ষিত মানুষকে খুব শ্রদ্ধা করি এবং ভালবাসি। কিন্তু সব শিক্ষিতই তো আর সুশিক্ষিত নয়। শিক্ষিত মানুষ এক লাইন বেশি বোঝে। তাই কাউকে উপকার করার আগেও হাজার রকম চিন্তা করে। কিন্তু কাউকে উপকার করতে হয় তবে সব বুদ্ধি-যুক্তি বাদ দিতে হয়। এটাই হল নিঃস্বার্থ উপকার। কিন্তু শিক্ষিত লোক প্রত্যেক উপকার এর পেছনে যুক্তি খোজে। অর্থাৎ তার থেকে আমি প্রতিউপকার পাব কিনা বা সে আমাকে কখনো উপকার করেছে কিনা কিংবা সে আসলেই এই উপকারের উপযুক্ত কিনা সবকিছু বিবেচনা করে। যেটা আমি মোটেই পছন্দ করি না। আপনি সবকিছুর পেছনে লাভ খোজেন তবে তা উপকার নয় বরং বিনিয়োগ বলা যেতে পারে। কারণ বিনিয়োগ করলেই না লাভের চিন্তা করে কিন্তু উপকার করে লাভের চিন্তা করাটা মূর্খতার সামিল কিন্তু বাস্তবতা হল শিক্ষিতরাই এই কাজটি বেশি করে থাকে। তাই আমি বলতে চাই স্বার্থপর মাত্রই সমাজের জন্য অভিশাপ হোক সে বড় কোন শিক্ষিত লোক কিংবা সাধারণ মানুষ।
প্রথাগত সমাজের বিলুপ্তি-যা ছিল আমাদের অহংকার
যখন বাপ-দাদার কাছ থেকে কিংবা মাযের মুখে পুরনো সমাজ ব্যবস্থা সম্পর্কে শুনি তখন সত্যিই খুব রোমাঞ্চ অনুভব করি। খুব আবেগাপ্লুত হয়ে পড়ি এই ভেবে যে - আমাদের সমাজ ব্যবস্থা এত স্বল্প সময়ে কিভাবে এরূপ পরিবর্তিত রূপ ধারণ করল। এটা গ্রাম-বাংলার উন্নতির খারাপ লক্ষণ নাকি মানুষে মানুষে আন্তরিকতার হ্রাস নাকি “আমি কাউকে পরোয়া করি না” এই ধরনের মনোভাবের ফসল এটা ব্যাখ্যা করা মুশকিল। তবে আমার ব্যক্তিগত মতামত যদি দিই তাহলে বলতে হয়-মানুষের অর্থনৈতিক উন্নতিই এর মূল কারণ। শিক্ষা সেখানে পার্শ্ব ভূমিকা পালন করতেছে। একটু চিন্তা করে দেখুন আগে মানুষ কেন সংগঠিত ছিল? কেন তারা গ্রামের মাতব্বরদের মান্য করত? সত্যি বলতে কি মানুষ তখন খুব একটা আর্থিকভাবে স্বচ্ছল এবং খুব একটা শিক্ষিত ছিল না। আর্থিক বা শিক্ষাগত কারণে হোক তারা অন্যের উপর অর্থাৎ সমাজের উপর নির্ভরশীল ছিল। আর যদি কেউ অন্যের উপর নির্ভরশীল হয় তার পক্ষে তার কথা অমান্য করার সুযোগ থাকে না। এজন্য তখনকার আমলে মানুষ সমাজের মাতব্বরদের মান্য করত কারণ তারাই তাদের বিভিন্ন কাজ-কর্মে সাহায্য সহযোগিতা করত হোক সেটা বিবাহ কিংবা খাবারের আয়োজন। আরেকটা জিনিস খেয়াল করবেন দুর্বলরা সবসময় অধিক সংগঠিত হয়ে থাকে সবলদের তুলনায়। কারণ তারা প্রত্যেকেই প্রত্যেকের উপর নির্ভলশীল। কিন্তু বর্তমানে মানুষ ব্যক্তিগতভাবে সম্পদশালী হচ্ছে আর এই সম্পদশালী হওয়াতে সে কারও উপর নির্ভরশীল না হয়ে স্বাধীনভাবে সবকিছু করতেছে। কাউকে মান্য করার দরকার পড়তেছে না। এটা একদিক দিয়ে ভাল কিন্তু খারাপ দিকটা খুবই খারাপ। পূর্বে মানুষের মধ্যে যে আন্তরিকতা দেখা যেত, একজনের সমস্যায় অন্যজন যেভাবে এগিয়ে আসত, বাড়িতে একজন মেহমান আসলে সমাজের সকলে তাকে নিয়ে যেভাবে আপ্যায়নে ব্যস্ত হয়ে যেত তা এখন হয় না বললেই চলে। সমাজে নামমাত্র সরদার থাকলেও পুতুলের ভূমিকা পালন করতেছে। মানুষ সামাজিক জীব এটা আমরা ছোটকাল থেকে পড়ে আসতেছি। পৃথিবীতে আর কোন প্রাণী মানুষের মতো সামাজিকভাবে মিলেমিশে থাকতে পারে না। এখনকার অবস্থা দেখলে মনে হয় পিপড়া আমাদের চেয়ে অনেক বেশি সামাজিক। মাঝে মাঝে পুরনো সমাজ ব্যবস্থার কথা শুনলে রূপকথার মতো মনে হয়। কিন্তু এটাই বাস্তবতা। আমি মনে করি আধুনিক সমাজ সভ্যতার অভিশাপ। কারণ আধুনিক সমাজ মানুষে মানুষে ভেদাভেদ সৃষ্টি করতেছে। মানুষকে স্বার্থপর হতে উদ্বুদ্ধ করতেছে, মানুষকে আত্মনির্ভরশীল করে গোটা সমাজ ব্যবস্থাই ধ্বংস করে দিচ্ছে। আধুনিকতার নামে বর্তমানে যা শুরু হয়েছে তাকে একমাত্র হিংস্র পশুর সাথে তুলনা করা চলে। পাঠকগণ দয়া করে আমাকে ভূল বুঝবেন না। কথাগুলো মনের দুঃখে বলতেছি।
শুক্রবার, ৩ অক্টোবর, ২০১৪
হিন্দু ভাইদের উদ্দেশ্যে বলছি...................
ভাই আপনারা আপনাদের ধর্মকে কি শ্রদ্ধা করেন না? দূর্গাপূজায় সর্বদা গান-বাজনা চলতেই থাকে। এটা কি হিন্দু ধর্মের কোথাও লেখা আছে? ধর্ম হল আবেগের বিষয় মজা বা ফানের বিষয় নয়। কিন্তু আপনারা তা পুরোটাই ফান বা মজাতে নিয়ে গেছেন। যখন প্রতিমা ফেলে দেওয়া হয় তখনো দেখি ঢোল বাজনা করা হয়। আপনারা কি করেন আসলে আপনারা নিজেরাই জানেন না। আরও ইসলাম ধর্মকে যা তা বলেন। ইসলাম ধর্মকে অপবাদ দেন। ইসলাম ধর্ম পরিপূর্ণ জীবন বিধান। প্রত্যেকটি বিষয়ই এখানে স্থান পেয়েছে। যাকাত একমাত্র ইসলামের বৈশিষ্ট্য যার দারিদ্র শতভাগ দূর করা সম্ভব। নামাজ হল পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ এবাদত বা প্রার্থনা। এটা কি আপনি ভূল প্রমাণ করতে পারবেন? নারীকে সবচেয়ে বেশি সম্মানিত করেছে ইসলাম।
এক হিন্দু ছেলের অযৌক্তিক কথাবার্তার প্রতিবাদস্বরূপ এই পরিচ্ছেদটা লিখলাম। দয়া করে মন দিয়ে পড়বেন।
এক হিন্দু ছেলের অযৌক্তিক কথাবার্তার প্রতিবাদস্বরূপ এই পরিচ্ছেদটা লিখলাম।মুর্তি
পূজাকে বৈধতা দিচ্ছ যে
বৈধতা নিজের ধর্মও দেয়নি। আরে
মিয়া নিজের ধর্মকে আগে
জানো পরে অন্যের ধর্ম
নিয়ে টানাটানি করবে। তোমাদের
বিশ্বাস কি এতই দূর্বল,
এতই অস্থির যে
ভগবান কে বিশ্বাস করার
জন্য কিংবা মনের স্থিরতার
জন্য তার প্র্রতিমূর্তি বানাতে
হয়? আরে ভাই না
দেখে বিশ্বাস করাটাই তো ইমান। আপনারা
ইতিহাস পড়লে দেখবেন যে
আরবরা ছিল সবচেয়ে হিংস্র
এবং বর্বর জাতি।
অথচ বর্বর জাতিকে হেদায়েত
করতেই আল্লাহর নবী এসেছেন। পৃথিবীর
বড় বড় ধর্মীয় কিতাবে
আল্লাহর নবীর নাম এসেছে
। খোদ আপনাদের
ধর্মগ্রন্থতেই আল্লাহর নবীর নাম আছে। কিভাবে
আপনারা এটা বানোয়াট ধর্ম। অপপ্রচার
আমরা করি না, আপনারা
হিন্দুরাই করেন। আমি
কোন ধর্মই ঘৃণা করি
না। কিন্তু
এই শুভ্র সাহেব উর্মিকে
ইসলাম ধর্মের প্রতি ঘৃনার
সৃষ্টি করেছেন কতগুলো ফালতু
কথা বলে। উনার
যদি উর্মিকে এতই ভালো লাগে
এমনে বললেই তো হতো
এতটা জঘন্য কথা বলার
কি ছিল। মুসলমানরা
হিজাব বাধ্যতামূলক করেছে তা আপনাদের
ভালো লাগে না, কারণ
আপনারা বেস্যপনা ভালবাসেন আপনাদের হিন্দু মহিলারা কোমর,
পিঠ দেখিযে হাটলে ভালো
লাগে, তাই না? উর্মি
স্কার্ফ পরে আসাতে আপনি
তাকে ভালোভাবে দেখেননি তাই তার স্কার্ফ
কিভাবে খুলবেন সেই ফন্দি
আটলেন ভূয়া, মিথ্যা, বানোয়াট
এবং বাজে রকম মন্তব্য
করে। আপনি
হিন্দু ধর্মের কলঙ্ক।
কাবা শরীফের ভেতর সব
মূর্তি কে বলেছে আপনাকে?
প্রমাণ করতে পারবেন? কাবা
শরীপ কে বানিয়েছিল আপনি
বলতে পারবেন? যা জানেন না
তা বলতে আসেন।
এটা ছিল পবিত্র ঘর
যাকে মূর্তিপূজারীরা মূতি রেখে অপবিত্র
করে রেখেছিল। ইসলাম আসার আগে
ঐখানে অনেকগুলো মূর্তি ছিল সেই
মূর্তি সেখান থেকে অপসারণ
করে পবিত্র কাবার শরীফের
পবিত্রতা ফেরত আনা হয়।আর কোরানের
উদাহরণ
দিছেন। এটা
কোন
যুক্তি
হল। আপনি
লেখাপড়া
জানা
মূর্খ
দেখতেছি। কিসের
সাথে
কিসের
যুক্তি
দিলেন?
কোরআনকে
আমরা
সেজদা
করি
না,
সম্মান
করি,
তার
পবিত্রতা
বজায়
রাখি
যেহেতু
তাতে
যা
আছে
তা
আল্লাহর
কালাম,
যার
আসল
কপি
লওহে
মাহফুজে
সংরক্ষিত। এটা
তার
দুনিয়াবী
প্রকাশ
মাত্র। আমরা
ভগবানে
কোন
প্রতিমূর্তি
বানায়না
কারণ
আমরা
মনে
প্রাণে
আল্লাহকে
বিশ্বাস
করি। আপনাদের
শংকা
আছে
তো
তাই
আপনাদের
প্রতিমূতি
বানাতে
হয়। আপনি
বলেন
পৃথিবীতে
নামাজের
চাইতে
শ্রেষ্ঠ
কোন
ইবাদত
আছে?
দুই
লক্ষ
মানুষ
একসাথে
নামাজ
পড়লে
মাত্র
একজনের
আওয়াজ
শুনতে
পাবেন
সবাই
তার
দিকে
গভীর
মনোযোগ
দিয়ে
থাকে। আর বললেন
এটা
নবীর
বানানো
ধর্ম। যে নবী
পড়ালেখা
জানত
না
যে
নবীর
কোন
শিক্ষক
ছিল
না,
যে
নবীকে
নবী
হওযার
আগেই
আল-আমিন
বা
বিশ্বাসী
বলে
আখ্যা
দেওয়া
হয়েছিল
সেই
নবী
নতুন
নতুন
কিতাব
নতুন
নতুন
মতবাদ
নিজেই
বানিয়েছিলেন
তাই
না?
এতটা
অযৌক্তিক,
অবাস্তব,
অবান্তর
এবং
মূর্খসূলব
কথা
আপনারাই
বলতে
পারেন। কারণ
আপনারা
অধিকাংশই
নিজ
ধর্ম
সম্পর্কে
ওয়াকিবহাল
থাকেন
না। যাও
জানেন
তা
দিয়ে
ইসলামকে
হিংসা
করার
মনোভাব
সৃষ্টি
হয়,
ধর্মীয়
অনুভূতি
সৃষ্টি
হয়
না। যারা
সত্যিকার
মুসলমান
তারা
হিন্দু
ধর্মকে
হেয়
করবেন
না
কারণ
আল্লাহর
নবী
বলে
দিয়েছেন
যে
যার
যারা
ধর্ম
তার
তার
জন্য। যে হেদায়েত
পাবে
সে
ইসলামে
আসবে
আর
যার
প্রতি
আল্লাহর
নেক
নজর
পড়বে
না
সে
অন্য
ধর্মেই
থেকে
যাবে। আর বললেন
মুসলমানরা
অবিরাম
সন্তান
জন্মদানের
মাধ্যমে
সৃষ্টি
হয়েছে
তাহলে
আপনারা
এই
চেষ্টা
করে
দেখেন
না। এটা
আপনাদের
প্রতি
অনুরোধ। পৃথিবীতে
মাত্র
দুইটা
হিন্দু
রাষ্ট্র
1) ভারত
আর
2) নেপাল
অথচ
60 টার
উপরে
মুসলিম
রাষ্ট্র
আছে। কিসের
সাথে
কি
যুক্তি
দেখান
আমি
বুঝি
না। যে ভারতীয়
উপমহাদেশে
সব
হিন্দু
ছিল
সেখানে
কোটি
কোটি
মুসলিম
আসল। পৃথিবীর
সবচেয়ে
জনবহুল
দেশ
ভারত। জনসংখ্যা
প্রায়
120 কোটি। তন্মধ্যে
20 কোটি
মুসলিম
আর
বাকিগুলো
হিন্দু
।
অথচ
সম্পূর্ণ
আর
রাষ্ট্র
মিলিয়ে
এতগুলো
মুসলিম
নেই। এরপরও
আপনি
বলবেন
ইসলাম
ধর্ম
বংশবৃদ্ধির
মাধ্যমে
হয়েছে। আপনারা
ছিলেন
মূর্তি
পূজারি। ইসলাম আসার আগে সারা পৃথিবীতে মূর্তি পূজারীর সংখ্যা বেশি ছিল। তাই আল্লাহ রাসুলকে পাঠিয়েছেন। কিন্তু সবখানে তো আর ওনার পক্ষে যাওয়া সম্ভব না তাই বিভিন্ন জায়গায় বাইরের প্রান্তে আপনাদের মতো মূর্তি পূজারী রয়ে গেছে। আপনাদের মানুষ করার জন্য আসল বড় বড় সুফী দরবেশ। নইলে আপনারাই বা কেন সুফী দরবেশদের এত শ্রদ্ধা করেন। আরব
থেকে
সুফি
দরবেশ
এসে
আপনাদের
এই
পাপকর্ম
থেকে
বিরত
করে
মুসলিম
বানিয়েছেন। নাহলে
এত
মুসলিম
আসল
কোত্থেকে। আপনারা
হিন্দুরা
মেধাবী
কিন্তু
গোঁড়া। অর্থাৎ
আদি
অবস্থানকে
এখনও
ধরে
রাখতে
চান। যদিও
বা
আপনারা
বুঝেন
যে
এটা
ঠিক
না
তবুও
আরেকজনকে
ভূল
বুঝিযে
নিজেদের
বাপ
দাদার
ধর্মকে
আকড়ে
ধরে
রাখতে
চান। মুসলমানরা
নয় বরং
আপনারা
বাধ্য
হয়ে
সমাজ
থেকে
বৃহিষ্কৃত
হওয়ার
ভয়ে
বাপ
দাদার
ধর্ম
ছাড়তে
পারতেছেন
না। এরকম
অনেকেই
আছে
মুসলিম
হওয়ার
কারণে
সমাজ
থেকে
বহিষ্কৃত
হয়েও
খুশিমতো
জীবনযাপন
করতেছেন। আপনারা
বলেন ভগবান
শ্রী
কৃষ্ণ
স্বয়ং
পৃথিবীতে
এসেছেন। কেন,
উনি
কি
এতই
দূর্বল
যে
উনাকে
স্বয়ং
এসে বিচ্ছৃংখল
পরিস্থিতি
নিয়ন্ত্রণ
করতে
হয়?
উনার
দূত
নেই?
ভগবান
কখনো
মানুষের
রূপে
আসতে
পারে
না। এটা
আপনাদের
ধর্মেই
আছে। ভালো
করে
পড়ে
দেখবেন। আপনারা
বলেন
হিন্দু
ধর্ম
অনেক
পুরাতন
তবে
সেখানে
কিভাবে
আল্লাহর
নবীর
নাম
উল্লেখ
পাওয়া
যায়। দয়া
করে
নিজের
ধর্ম
সম্পর্কে
জানুন
এবং
নিজ
ধর্মের
কিতাব
পড়ুন
তবে
অন্য
ধর্ম
সম্পর্কে
বেহুদা
মন্তুব্য
করবেন
না। চাইলে
আপনাদের
ধর্ম
সম্পর্কে
অনেক
কিছু
বলতে
পারি
কিন্তু
বলব
না
কারণ
হিন্দু
ধর্মকে
হেয়
করা
আমার
কাজ
নয়
বরং
ইসলাম
সম্পর্কে
আপনার
যে
ভূল
ধারণা,
বিশ্বাস
তা
ভাঙ্গানো
এবং
ইসলাম
সম্পর্কে
সঠিক
তথ্য
দেয়াই
আমার
একমাত্র
উদ্দেশ্য। কিছু
মনে
করবেন
না। আপনার
কথাগুলো
খুব
কট্টরপন্থি
হয়ে
গিয়েছিল
তাই
কমেন্ট
না
করলে
নিজের
প্রতি
অপরাধ
বোধ
হত
তাই
কমেন্ট
করলাম। আল্লাহ
আপনাকে
হেদায়েত
করুন। কাউকে
সাহায্য করার আগে যে
সে সত্যিই ঐ সাহায্যের
উপযুক্ত কিনা। যদি
না জেনে না বুঝে
দিয়ে দেন তবে সে
ঐটাকে পেশা হিসেবে গ্রহণ
করবে এবং পেশার বিস্তৃতি
ঘটাবে। বাংলাদেশে
ভিক্ষুক বৃদ্ধির পেছনে এটাই প্রধান
কারণ। এমন
অনেক ভিক্ষুক আছেন যারা আর্থিকভাবে
স্বচ্ছল। এদের
বেশিরভাগ-ই বাইরের জেলার
যাদের নিজ বাড়িতে যথেষ্ট
বসতভিটি এবং সম্পত্তি আছে। অর্থাৎ
বাংলাদেশে ভিক্ষুক বৃদ্ধির পেছনে মূলত আমরাই
দায়ী। আমরা
ভাবি যে দুই টাকা
দিলে আর কি হবে। কিন্তু
এই দুই টাকা দিয়ে
আসলে তার ভবিষ্যত এবং
বাংলাদেশের ভবিষ্যত নষ্ট করছি। কারণ
একটা
ভিক্ষুক
মানে
দেশে
একজন
বেকার
মানুষের
সৃস্টি। আর
বেকার
মানুষ
সবসময়
সকল
দেশের
জন্য
বোঝা
হিসেবে
আরোহিত
হয়। আমরা
যদি
তাকে
দুই
টাকা
বা
দুই
হাজার
না
দিয়ে
এক
টাকা
বা
এক
হাজার
টাকা
কামানোর
ব্যবস্থা
করে
দিই
তবে
তার,
আমার
এবং
সকলের
জন্য
মঙ্গলজনক। কারণ
সে
যে
আপনার
কাছ
থেকে
খুজবে
না
তার
তো
কোন
গ্যারান্টি
নেই। একবার
যদি
কারও
হাত
মেলে,
লজ্জার
পর্দা
উন্মোচিত
হয়
তবে
হাত
আর
বন্ধ
হয়
না। অর্থাৎ
ভিক্ষা
করতে
লজ্জাবোধ
করে
না। তাই
দেখে
শুনে
বোঝে
সাহায্য
করুন
তখন
সেই
সাহায্য
কাজে
লাগবে
এবং
মানুষ,
সমাজ
ও
দেশ
উপকৃত
হবে।
এতে সদস্যতা:
পোস্টগুলি (Atom)