বিএনপির ডাকা লাগাতার ৭২ ঘন্টার হরতাল হাটহাজারীতে শান্তিপূর্ণভাবে পালিত হচ্ছে। সম্ভবত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এই হরতাল ডাকা হয়েছে। কিন্তু আর কত সহ্য করা যায়। হরতাল, অবরোধ এইসব শুনতে শুনতে আমাদের কান ভোতা হয়ে গেছে। এটি শুধুমাত্র এবার হচ্ছে তা নয়।পূর্বে থেকে হযে আসতেছে। কবে এর অবসান হবে জানি না। আশা করছি সরকারি এবঙ বিরোধীদল উভয়েই সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নিবেন। আমি আসলে একটা বুঝতে পারছি না যখনই বাঙলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধশালী হবার পথে এগোই তখনই কোন কোন না সমস্যা আবির্ভূত হয়। হয়তো কেউ এর কলকাঠি নাড়তেছে যারা বাঙলাদেশের উন্নতি পছন্দ করে না। আমার সন্দেহের তীর ভারতের দিকে। ভারত কখনই চায় না বাঙলাদেশ তাদের চেয়ে দ্রুত উন্নত হোক। তাদের অনেক কর্মকান্ড এ আমার এই সন্দেহের মূলে কাজ করছে। এই যেমন ক্রিকেটের কথাই ধরুন। তারা বাঙলাদেশের প্রতিবেশী দেশ, তবু তারা বাঙলাদেশ ক্রিকেট দলকে তাদের দেশে আমন্ত্রণ জানায় না। বরঙ শেবাগের মতো খেলোয়াড় বাঙলাদেশ ক্রিকেট দলকে নিয়ে উপহাস করেছেন। তারপর বাণিজ্যের ক্ষেত্রে তারা যতটুকু সুবিধা দেয় তারচেয়ে দ্বিগুণ বা তিনগুণ আদায় করে নেয়। সীমান্তে অবাধে বাঙালি হত্যা(ফেলানি হত্যার সুষ্ঠু বিচার না করা)। বাঙলাদেশের দুর্ভোগের কথা চিন্তা না করে, আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে বাধ নির্মাণ করা ইত্যাদি তারই প্রমাণ বহন করে। আমার মনে হয় বাঙলাদেশের উন্নয়নের পথে প্রধান বাধা বাঙলাদেশের অভ্যন্তরে ভারতের নাক গলানো (অর্থাং কূটনৈতিক হস্তক্ষেপ করা)। তারা বাঙলাদেশ সরকারকে রাশিয়ার পক্ষে ভোট দানে বাধ্য করেছে যাতে মধ্যপ্রাচ্যে বাঙলাদেশের চাকরির বাজার নষ্ট হয় এবঙ রাশিয়ার সাতথ ভারতের যে উষ্ণ সম্পর্ক তা আরো শক্তিশালী হয়। সম্ভবত আমরা পাকিস্তান থেকে মুক্ত হয়ে ভারতের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছি। ভারত সবসময় আমাদের উপর ছড়ি ঘোরানের চেষ্টা করে। যেহেতু বাঙলাদেশের তিন দিকে ভারত সেহেতু বাঙলাদেশ সরকার তাকে ভয় পায়। আর এই সুযোগটাই তারা সবসময় কাজে লাগায়। বস্তুত বাঙলাদেশ এখনো সত্যিকার স্বাধীনতা অর্জন করতে পারেনি, কখনো পারবে না যদি বাঙলাদেশ সরকার তাদের হীন চিন্তাধারা মাথা থেকে ঝেড়ে না ফেলেন। আজকের দিনে কেউ কাউকে অধীন করে রাখতে পারে না। আল্লাহ তাদের মধ্যে শুভবুদ্ধির উদয় করুন। আজকের মতো আমার বক্তব্য এখানেই শেষ করলাম।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন