বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪

প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলছি....

 জানি না আমার এ লিখা প্রশাসনের কাছে পৌছাবে কিনা, তবুও সাধারণ মানুষের পক্ষ হয়ে লিখলাম হয়তো পৌছুবে এ আশায়।

চট্টগ্রামে জাইকা, বাংলাদেশ সরকার এবং  ওয়াসার অর্থায়নে চলছে রাস্তা খুড়ে পাইপলাইন স্থাপনের কাজ, যা শহুরে বাসীন্দাদের ভোগান্তির কারণ হযে দাড়িয়েছে। এটা ঠিক কিছু পেতে হলে কিছু দিতে হয়, কারণ কষ্টের ফল খুবই মিষ্টি। কিন্তু এই কষ্টটা কত দিন সহ্য করলে ফল আসবে তা এখনো বুঝতে পারছে না জনগণ। কাজের যে মন্থর গতি তাতে মনে হচ্ছে না খুব সহসা তারা প্রকল্প শেষ করতে পারবেন। কিছুদিন আগে পত্রিকায় আসছে প্রকল্পটি এই বছর শেষ করার কথা থাকলেও তা আর সম্ভব হচ্ছে না। কিন্তু একবার যখন পিছিয়েছে তা যে আর পিছোবে না তার কি গ্যারান্টি। সমস্যা হল সময় যতই দীর্ঘায়িত হবে ততই মানুষের ভোগান্তি দীর্ঘায়িত হবে। এই সমস্যাটি সবচেয়ে বেশি ভোগাচ্ছে অক্সিজেন সংযোগ রোড ব্যবহারকারী যাত্রীদের। একদিকে সংকীর্ণ  রাস্তা অন্যদিকে রাস্তা খুড়ে পাইপলাইন নির্মাণ করে রাস্তাকে আরও সংকুচিত করা হযেছে। এতে‌ ঐ এলাকার অধীবাসীগণ অসহনীয় ভোগান্তির শিকার হচ্ছে।
আগে আমাদের দেখা সবচেয়ে পরিষ্কার এবং ভাল রাস্তা ছিল কাপ্তাই রোড। এখন পাইপলাইন নির্মাণের জন্য রাস্তা খুড়ায় ঐ রোডের অবস্থা নাজুক হয়ে পড়েছে। তবে এটা স্বাভাবিক যে স্বল্পসময়ে রাস্তা খুড়া ছাড়া গত্যন্তর নেই। সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলছি, চেষ্টা করুন মানুষের দুর্ভোগ লাঘবার্থে যতদ্রুত সম্ভব প্রকল্পটি শেষ করার এবং রাস্তার যাতে খুব বেশি ক্ষতি না হয় সেদিকে রাখতে বলবেন।

ভালবাসা নয় ভালোবাসা-বানানের চিরাচরিত ভুল

আমরা প্রায়ই বানান নিজের অক্ষির গোচরে বা অগোচরে বানান ভুল করে থাকি। খারাপ লাগে যখন কেউ ইচ্ছা করে বানান ভুল লেখে। অনিচ্ছাস্বত্ত্বেও যাদের বানান ভুল হয় তাদের প্রতি আমার কোন ক্ষোভ নেই। কারণ "To err is human" অর্থাৎ মানুষ মাত্রই ভুল। সুতরাং কেউ যদি নিজের অজান্তে ভুল করে তাকে কোন অবস্থাতেই দোষারোপ করা যায় না। আমি এখানে কয়েকটি সাধারণ বানান ভুলের তালিকা দিচ্ছি যা আমরা প্রায়ই ভুল করে থাকি, হয়তো না জেনেই। দয়া করে আপনারা আমার সাথে মিলিয়ে দেখবেন।
ভালবাসা নয় ভালোবাসা
ভূল নয় ভুল
পুরস্কার নয় পুরষ্কার
উপলদ্ধি নয় উপলব্ধি
বিশ্বস্থ নয় বিশ্বস্ত
স্বজ্ঞানে নয় সজ্ঞানে
স্বস্ত্রীক নয় সস্ত্রীক
নূন্যতম নয় ন্যূনতম
মুহুর্ত নয় মুহূর্ত
ভৌগলিক নয় ভৌগোলিক
দুর্ণীতি নয় দুর্নীতি (কারণ শব্দটি নীতি যোগে গঠিত)
সমীচিন নয় সমীচীন
ভূল নয় ভুল
সহযোগীতা নয় সহযোগিতা
উপযোগীতা নয় উপযোগিতা                                                                                                                                     
এতদ্বারা নয় এতদ্দ্বারা
অধীন নয় অধীনস্থ
অসহ্যনীয় নয় অসহনীয়/অসহ্য
সাধ্যাতীত নয় অসাধ্য
সত্বা নয় সত্ত্বা
নিঃশেষিত নয় নিঃশেষ
আবশ্যকীয় নয় আবশ্যক
সিঞ্চন নয় সেচন
বিবাদমান নয় বিবদমান
স্বত্ত্ব নয় স্বত্ব(শুদ্ধ হল স+ব-ফলা+ত+ব-ফলা)
নির্দোষী নয় নির্দোষ
প্রাতঃরাশ নয় প্রাতরাশৱ
উপরোক্ত নয় উপর্যুক্ত
দুরাবস্থা নয় দুরবস্থা
অদ্যবধি নয় অদ্যাবধি
আজ এই পর্যন্ত লিখলাম। চেষ্টা করব যথেষ্ট তথ্য সমৃদ্ধ লেখা আপনাদের সামনে তুলে ধরার।

ঘুমপাড়ানি গানে শিশুরা ঘুমিয়ে পড়ে কেন?

দেখা গেছে ঘুম পাড়ানি গানে শিশুদের মস্তিষ্কে তরঙ্গের পরিবর্তন হয়। সব সময়ই বিভিন্ন তরঙ্গের কম্পাঙ্ক আমাদের মস্তিষ্কে উ্তপত্তি হয়। ঐ তরঙ্গগুলিকে বিটা তরঙ্গ (১৪ থেকে ২৭ চক্র/সেকেন্ড), আলফা তরঙ্গ(৮ থেকে ১৩ চক্র/সেকেন্ড), থিটা (৪ থেকে ৭ চক্র/সেকেন্ড), ডেলটা (০ থেকে ৪ চক্র/সেকেন্ড) এইভাবে ভাগ করা যেতে পারে। ই.ই.জি বা ইলেকট্রো এনসেফালোগ্রাম যন্ত্রে ঐসব তরঙ্গ ধরা পড়ে। ঘুমপাড়ানি গানের সুরেলা ছন্দ মস্তিষ্কের বিটা তরঙ্গকে ডেলটা তরঙ্গে নামিয়ে আনতে পারে, অর্থাৎ তরঙ্গ প্রায় শুন্যে নেমে আসতে পারে। ফলে শুধু শিশু কেন, মায়ের বা খালার ঘুমপাড়ানি গানের ছন্দে বড়দেরই ঘুম পেয়ে যায়।

সিনেমা কথাটার উ্তপত্তি কোথা থেকে?

# ১৮৮৯ সালে টমাস এডিসন তার সহকার ডিপসন প্রথম বাস্তব মোশান পিকচার বা চলচ্ছবি বের করে কাইনেটোস্কোপের উদ্ভব ঘটান। প্রথম ছবি প্রদর্শনকে 'কিনেমা' বলা হত। ওখান থেকেই 'সিনেমা'।
#ভিটামিন 'এ' বেশি খাওয়া কি ক্ষতিকর?
হ্যা, ভিটামিন 'এ' বেশি খাওয়া ক্ষতিকর, কারণ অতিরিক্ত ভিটামিন 'এ' লিভারের পক্ষে খারাপ এবং এমন একটা অবস্থা সৃষ্টি করে যাকে বলে ক্যারটিনিমিয়া। গাজর বা অন্য কোনও খাদ্য থেকে বিটা ক্যারোটিন খাওয়া চলতে পারে, কিন্তু ওষুধ হিসেবে ভিটামিন 'এ' মুড়ি-মুড়কির মতো খাওয়া সত্যিই ক্ষতিকর।

মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪

মশা মারা সুগন্ধী কয়েল কী স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর?

মশা মারার সুগন্ধী কয়েল তৈরি হয় নারকেল মালা বা ঐ জাতীয় সেলুলোজ পাউডার, কিছু রাসায়নিক পদার্থ ও গদ বা মোম দিয়ে। পাইরক্সিন ও পাইথ্রয়েড তো থাকেই। যা মানুষের শরীরে সামান্য হলেও বিষক্রিয়া ঘটায়। এছাড়া ঐ কয়েল জ্বললেই কার্বন মনোক্সাইড তৈরি হয় এবং অন্য এমন কিছু পদার্থ তৈরি হয় যা মানব শরীরের পক্ষে মোটেও ভাল নয়। বিশেষ করে বাচ্চাদের শরীরে এইসব কয়েলের প্রভাব বেশ ক্ষতিকর।
তাছাড়া বহুক্ষণ ধরে ঐ সব কয়েল জ্বলা ঘরে নিঃশ্বাস-প্রশ্বাস চালালে মাথা ধরা , বমি ভাব আসতে পারে-পেট্রোলিয়ামজাত পদার্থ শরীরে প্রবেশ করার জন্য্ কারণ অনেক সময়ই ঐ সব কয়েলের সুগন্ধ বাড়াবার জন্য সলভেন্ট হিসেবে সুগন্ধযুক্ত পেট্রোলিয়ামজাত পদার্থ ব্যবহ্রত হয়। এই সব পলিসাইক্লিক হাইড্রোকার্বন অনেক সময় ক্যানসারের কারণও হতে পারে। পাইরিফ্রয়েড থাকার ফলে এমনিতেই চোখ ও গলা জ্বালা করতে পারে।

মানুষ আর জানোয়ারের মধ্যে তফাত

মানুষ শব্দটি মন+হুশ শব্দদ্বয়ের সমন্বয়ে গঠিত।  হুশ শুধু মানুষের নয় জন্তু জানোয়ারেরও আছে। আপনি কখনো কোন গরুকে দেখবেন না গর্তের মধ্যে ঝাপ দিতে কিংবা আগুণের মধ্যে ঝাপ দিতে। কোরবানের সময় যখন আমরা তলোয়ার নিই তখন গরু ছটফট করতে থাকে। অর্থাত্ তাদের হুশ আছে বলেই তা সম্ভব হচ্ছে। কিন্তু মন একমাত্র মানুষের জন্য প্রযোজ্য। এই মন দিয়ে সে বিচার করে কোথায় কখন কি করতে হবে। তাইতো পন্ডিত বলেছেন-প্রাণ থাকলে প্রাণী হওয়া যায় কিন্তু মন না থাকলে মানুষ হওয়া যায় না। এই মনের কারণে মানুষ মানুষ হযে উঠে, নয়তো জন্তুর সাথে তার কোন পার্থক্য থাকতো না। মনহুশ শব্দটি কালের বিবর্তনে, ভাষার অবিরাম পরিবর্তনে মানুষে পরিণত হয়েছে।

বিজ্ঞানে অনেক সময় বলা হয় 'ট্রায়াল এন্ড এরর'-কেন?

আসলে একটি কাজের চারটে দশা আছে। ইংরেজীতে  বলে Think and Act (চিন্তা এবং কাজ), Act and fail (কাজ এবং ব্যর্থতা), Fail and learn (ব্যর্থতা এবং সেখান থেকে শেখা) এবং Learn and Succeed (শিক্ষা এবং সবশেষে সাফল্য)। এর মধ্যে দ্বিতীয় দশাটিকে (অর্থাত্ Act and fail )-কে বলা যায় ট্রায়াল এন্ড এরর। কারণ ট্রায়াল বা প্রচেষ্টা করলেই সাফল্য আসে না। বরং ভুল-ত্রুটিগুলো ধরা পড়ে। তাই ট্রায়াল এন্ড সাকসেস বা প্রচেষ্টা এবং সাফল্য নয়। ট্রায়াল এন্ড এরর হলো-প্রচেষ্টা এবং ভুল-ত্রুটি।

জানার আছে অনেক কিছু...

পেন্সিলের গ্রেড 2B, HB, 2H, HH ইত্যাদি কেন করা হয়?
আগে পেন্সিলে ব্যবহ্রত হতো লেড বা সিসে। এখন তার বদলে গ্রাফাইট। গ্রাফাইট খুব নরম। সুতরাং বিশুদ্ধ গ্রাফাইট ব্যবহার করলে পেন্সিল ঘন ঘন ভাঙতে বাধ্য। আবার লেড হচ্ছে খুবই শক্ত। তাই তার সঙ্গে গ্রাফাইট পাউডার মেশানো হয়। এখন লেড বা সিসের হার্ডনেস বা কাঠিন্য , তার উপর নির্ভর করে  HB, HH ইত্যাদি বিভাগ করা হয়ে থাকে। যেমন HH মার্কা পেন্সিল হল তুলনামূলক ভাবে অল্প শক্ত।  2B হলো খুবই নরম।

আমাদের আঙুল মটকালে মট্ করে শব্দ হয় কেন-

মানুষের একটা আঙুলে ছোট ছোট তিনটি হাড় থাকে। হাড় তিনটি নমনীয় পেশী বা টেনডন দ্বারা সংযুক্ত। আঙুলটিকে তার নিজস্ব স্থান থেকে যেই বাকানো হয় তখনই ঐ নমনীয় পেশীটি স্থানচ্যুত হয় এবং একটা মট্ করে শব্দ পাওয়া যায়। পরমুহুর্তে আবার পেশীটি ঠিক জায়গায় ফিরে এলেও একবার মটকানোর সঙ্গে সঙ্গে আবার চেষ্টা করলে এই মট্ শব্দটি পাওয়া যাবে না।
#আমরা হাই তুলি কেন-
আমাদের শরীরে কাজের ফলে ক্লান্তি আসে। শরীরের ক্লান্তি এলেই বাড়তি অক্সিজেনের প্রয়োজন হয়। হাই তুলে আমরা এই অক্সিজেন টেনে নেই।
#আমাদের হাচি হয় কেন-
আমাদের নাকের স্নায়ুকেন্দ্রগুলো অতি সুক্ষ্ম। শরীরের পক্ষে কোন ক্ষতিকর পদার্থ নাকের মধ্য দিযে শরীরে ঢোকার চেষ্টা করলেই স্নায়ুকেন্দ্রে তা বাধাপ্রাপ্ত হয়, এর ফলেই হাচি হতে থাকে।

সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪

মানুষে মানুষে ভেদাভেদ অতীত থেকে চলে এসেছে..

মানুষে মানুষে ভেদাভেদ অতীত থেকে চলে এসেছে। এটি চিরন্তন সত্য। ধনী-গরীব ভেদাভেদ ছিল, আছে এবং থাকবে। হয়তো ভেদাভেদের ধরনটা ভিন্ন। আগে একভাবে মানুষকে হীন করত আর এখন অন্যভাবে করে। কিন্তু ভেদাভেদ বন্ধ হয়নি। এই ভেদাভেদ দুর করার জন্যই পৃথিবীতে যত ধর্মের উতপত্তি। কত আন্দোলন সংগ্রাম, কত রক্তপাত শুধুমাত্র এই ভেদাভেদের কারণে। পাকিস্তান আর বাংলাদেশ বিভক্ত হওয়া, লাখ লাখ মানুষের মৃত্যু, শ্রমিকদের উপর নির্মম হামলা এসবই এই ভেদাভেদের ফসল। কারণ ধনীরা কখনোই গরীবের কস্ট বোঝে না, বোঝার চেষ্টাও করে না। তাই তাদের মধ্যে বিরোধ ও অসন্তোষ দেখা দেয়। ফলশ্রুতিতে দাঙ্গাহাঙ্গামা, রক্তপাত, হতাহতের ঘটনা ঘটে। এতে বিস্মিত হবার কোন কারণ নেই। এগুলো অতীতেও ছিল, এখনো আছে, এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। তবে আশা করি যাতে কমে যায়।

এক ধর্ম কখনো আরেক ধর্ম কিংবা ভিন্ন ধর্মের লোককে হেয় করার অনুমতি দেয় না....

এক ধর্ম কখনো আরেক ধর্ম কিংবা ভিন্ন ধর্মের লোককে হেয় করার অনুমতি দেয় না। কারণ প্রত্যেক ধর্ম মানুষের কল্যাণের জন্য সৃষ্টি হয়েছে । আমি মুসলিম তাই বলে হিন্দু ধর্মের লোককে হেয় করতে পারব না। সবচেয়ে বড় কথা সে সৃষ্টিকর্তাকে বিশ্বাস করে,হয়তো ধরণটা ভিন্ন। কিন্তু আমি ঘৃণা করি যারা সৃষ্টিকর্তাকে বিশ্বাস করে না। যাদের আমরা কমিউনিস্ট বলে চিনি। তারা বলে সবকিছুই নাকি মানুষের তৈরী, স্রষ্টা বলে কিছু নেই। হায়রে অভাগা আশপাশে একটু খেয়াল করে দেখ, সামান্য একটা কম্পিউটার তৈরির জন্য একাধিক বৈজ্ঞানিক কাজ করেছেন। ইন্টারনেট উন্নয়নের জন্য ১০-১৫ জন্য বিজ্ঞানী অবদান রেখেছেন। অথচ কম্পিউটারের স্রষ্টা তৈরি হয়েছে বিবর্তনের মাধ্যমে,কোন স্রষ্টা ছাড়াই, কি হাস্যকর ব্যাপার। এরা আসলে জ্ঞানপাপী। আল্লাহ কোরআন শরীফে বেশ কযেক জায়গায় শিক্ষিত মুর্খ এর উল্লেখ করেছেন, এরা সেই লোক। একজন হিন্দুকে আমি কখনো হেয় করতে পারি না কিংবা বৌদ্ধকে হেয় করতে পারি না। প্রত্যেক ধর্মই মানুষের কল্যাণ, মঙ্গলের কথা বলেছে। সুতরাং তাদের উপর অত্যাচার করা যাবে না।  

আলু এখন কৃষকের জন্য গলার ফাস....

আলু এখন কৃষকের জন্য গলার ফাস হয়ে দাড়িয়েছে। আলু বিদেশে রপ্তানি করা গেলে কৃষকের এই হাহাকার কমানো যেত। বাংলাদেশে আলু উদপাদনের পরিমাণ বছরে যেখানে ৮০ লাখ টনের বেশি সেখানে রপ্তানি হচ্ছে বড়জোর ৩৫ থেকে ৪০ হাজার টন। রপ্তানি না হওয়ার কারণ হিসেবে ভারতের সঙ্গে অসম প্রতিযোগিতাকে দায়ী করেছেন রপ্তানিকারকেরা। টনপ্রতি তাদের আলুর দাম আমাদের চেয়ে কম কারণ তাদের দেশে কৃষকেরা ৫০ শতাংশ নগদ সহায়তা পান। আমাদের দেশে ২০ শতাংশ দেওয়ার কথা বলা হয়, কিন্তু কেটেকুটে ১৫ শতাংশ পাওয়া যায়। তাছাড়া বন্দরে ট্রাফিক সমস্যায় পড়ে আলু বন্দরে ২-৩ দিন পর্যন্ত আটকে থাকে। ফলে অনেক সময় আলু নস্ট হয়ে যায়। নিম্নে একটি পরিসংখ্যান দেখানো হলো-
১. এবার আলুর ফলন ৮৬ লাখ টনের বেশি। স্থা্‌নীয় চাহিদা ৭০ লাখ টন।
২. বছরে ১৬ লাখ টন আলু রপ্তানি সম্ভব। কিন্তু হচ্ছে গড়ে ৪০ হাজার টন।
৩. ২৭ টি দেশে আলু রপ্তানি হয়। এক-তৃতীয়াংশই যায় মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুরে।
৪. অনেক দেশেই আলু রপ্তানির সুযোগ আছে। কিন্তু আমাদের দূতাবাসগুলো সে খোজ রাখে না।

মহিলারা সমধিকার চায় না, পুরুষের মতো চলার অধিকার চায়....

ইদানীং মহিলাদের সমান অধিকার নিয়ে কিছু লোক খুব বেশি বাড়াবাড়ি করছে যা মুসলমান হিসেবে মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছে, কারণ তারা এর জন্য সবসময় ইসলামকেই দায়ী করে থাকে। তারা বলে ইসলাম নাকি মহিলাদের ঘর থেকে বের হওয়ার অনুমতি দেয় না। তাদের মৌলিক অধিকার হরন করেছে । অথচ ইসলামের ইতিহাস দেখেন ঐখানে দেখতে পাবেন মহিলাদের কত সম্মানই না দেখানো হয়েছে। হযরত আয়েশা(রাঃ) মহিলা হয়েও শত শত হাদিস বর্ণনা করেছেন। হযরত খাদিজা(রাঃ) ইসলামে দীক্ষিত হওয়ার পরও দেশ বিদেশে ব্যবসা করেছেন। মহিলাদের সম্পত্তির হিস্যাদার বানিয়েছেন এবং মোহরানার ব্যবস্থা করেছেন। আসলে মহিলাদের স্বাধীনতা বলতে তারা কি বুঝাতে চান তা আমরা সবাই জানি। কেন মহিলারা পর্দার ভিতরে থেকে চাকরি কিংবা ব্যবসা করতে পারে না। মহিলারা সমান অধিকার খুজতে গিয়ে তাদের সম্মান নিজেরাই হারিয়েছেন। আগে গাড়িতে মহিলারা উঠলে তাদের জন্য অনেক পুরুষ সিট ছেড়ে দিত। কারণ মহিলাদের দাড়িযে থাকতে দেখলে পুরুষদের ভাল লাগে।  তাদের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করত। কিন্তু এখন আর করে না। কারণ তারা সমধিকার চাই। আর সমধিকার চাইলে পুরুষদের মতো দাড়িয়ে থাকতে হবে। এখনো গ্রামাঞ্চলে মহিলাদের অনেক সম্মান করা হয়, শুধুমাত্র মহিলা হিসেবে।

সবজান্তা সমীপেষু............


প্রশ্ন-১। আচ্ছা ছাত্রলীগ আর সাধারন জনগণের মধ্যে কী সম্পর্ক-
ভবিষ্যতের নেতা আর সাধারণ জনগণের সম্পর্ক।
প্রশ্ন-২। বলুন তো আমার প্রেমিকার নাম কী-
বলা যাবে না। আপনার নতুন প্রেমিকা ছুটে যেতে পারে।
প্রশ্ন-৩। পাছে লোকে কিছু বলে, সামনে লোক কিছু বলে না কেন-
বলে, আপনি শোনেন না । সামনে লোকের সামনে যারা থাকে, তারা শোনে।
প্রশ্ন-৪।রস+আলোর কার্টুনগুলোয় অধিকাংশ সময় টাকার রং থাকে সবুজ কেন-
দেশে এত এত কালো টাকা, তাই রস+আলো চায় প্রকৃতির মতো নির্মল সবুজ টাকাও থাক।
রস+আলো ২৯৩ সংখ্যা থেকে সংগৃহিত

ইভটিজিংয়ের জন্য প্রথমত মহিলারাই দায়ী.....

যদি কোন মহিলা ইভটিজিংয়ের শিকার হন তবে আমি বলব প্রথমত তার । কেননা তিনি যদি ঐভাবে না চলতেন যাতে ছেলেরা টিজ করার সুযোগ তাহলে তিনি নিরাপদ থাকতেন। নিজের নিরাপত্তা নিজেকেই নিশ্চিত করতে হবে। আপনি যদি ফুটপাত দিয়ে না চলে গাড়ি চলার রাস্তা দিয়ে হাটেন এবং আপনি যদি গাড়ির সাইড লেগে আহত হন তবে আপনি আপনার দোষ কোনমতেই এড়িয়ে যেতে পারেন না। কারণ ফুটপাত দেওয়া হয়েছে পথযাত্রীদের চলার জন্য এখন আপনি যদি বাহাদুরের মতো রাস্তায় চলাফেরা করেন এবং গাড়ির ধাক্কায় আহত হন তবে গাড়ির ড্রাইভারের চেয়ে আপনার দোষ অংশেই কম নয়। আল্লাহ সবাইকে স্বাধীনসত্তা দিয়েছেন যাতে নিজের বিবেক খাটিয়ে চলতে পারি। তিনি একসাথে ভাল এবং খারাপ দুটি দিক মানুষের সামনে তুলে ধরেছেন। সুতরাং আমাদের উচিত যেটা ভাল সেটা গ্রহণ করা, তাতে আমাদেরই মঙ্গল।

চুরি কমানোর সঠিক বিচার ইসলামই দিয়েছে.....

চুরি ডাকাতি কমানোর জন্য পৃথিবীর প্রত্যেকটি দেশে, প্রত্যেকটি অঞ্চলে আইন প্রণীত হয়েছে কিন্তু দুনিয়ার কোন আইন এই পর্য্ন্ত চুরি ডাকাতি ঠেকাতে পারেনি। হয়তো রুপটা পাল্টাইছে। কিন্তু চুরি ডাকাতি কমেনি। একমাত্র ইসলাম সঠিক সমাধান দিয়েছেন যে, যদি কেউ চোর প্রমাণিত হয় তবে তার অর্ধেক হাত কেটে ফেল। কারণ একবার চুরির হাত বের হলে ঐ হাত আর ভিতরে ঢুকে না। এবং তার দেখাদেখি অন্যরা সাবধান হয়ে যাবে। হয়তো প্রাথমিকভাবে অমানবিক মনে হচ্ছে কিন্তু এটাই সর্বাপেক্ষা উত্তম পন্থা। যদি কোন পাগলা কুকুর আপনার পায়ে কামড় দেয় তবে আপনি নিশ্চয় তাকে মেরে ফেলবেন অথবা কিছু একটা করবেন যাতে অন্য কাউকে কামড় দিতে না পারে। এভাবে যে চোর আপনার ঘরে চুরি করেছে সে যে অন্যের ঘরে কিংবা আপনার ঘরে আবার চুরি করবে না তার কোন গ্যারান্টি নেই। তাই আল্লাহর দেওয়া বিধানই শ্রেষ্ঠ যদি আপনি অনুসরণ তবে আপনারই লাভ কারণ মানবজাতির কল্যাণের জন্যই ইসলাম।

রবিবার, ৯ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪

ইসলামে নারীর মর্যাদা পাশ্চাত্য সমাজের চেয়ে বেশি

ইসলামে নারীর মর্যাদা পাশ্চাত্য সমাজের চেয়ে বেশি। ইসলাম প্রথম নারীর মর্যাদা সমাজে প্রতিষ্ঠিত করেছে, স্বাধীনতা দিয়েছে, সমাজে তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠিত করেছে । স্বাধীনতা মানে বুক ফুলিয়ে রাস্তায় হাটা নয়। স্বাধীনতা মানে পুরুষের পোশাক পরিধান করা নয়্। স্বাধীনতা মানে রাস্তায় নারী-পুরুষ একসাথে অবাধে চলাফেরা নয়। অবাধে চলাফেরা বলতে নির্লজ্জের মতো চলাফেরা বুঝাচ্ছি। পার্কে গিয়ে জনসমক্ষে দৈহিক সম্পর্ক নয়। যেই পার্কেই যান না নারী-পুরুষের অবাধ মিলনের দৃশ্য আপনাকে একটু হলেও বিব্রত করবে। তাদের উত্পাতে পরিবার নিয়ে পার্কে যাওয়াই মুশকিল। এটা নাকি আধুনিকতা । এটা যদি আধুনিকতা হয়, তাহলে জাহেলিয়াত কি? আধুনিকতার নাম দিযে কিছু লোক তাদের যৌন তৃপ্তি নিভানোর পথ সুগম করার চেষ্টা করতেছেন। পরিতাপের বিষয় হল কিছু আধুনিক মনস্ক মুসলিম তাতে সমর্থন করতেছেন এবং পাশ্চাত্য সভ্যতার তাল মিলিয়ে এদেশের সংস্কৃতি ও ইসলামের মুল্যবোধ ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র করতেছেন। এদের থেকে সাবধান। এদের কথার ফুলঝুরিতে মুগ্ধ হয়ে নিজের ধর্ম ও সংস্কৃতি ধ্বংস করবেন না।

নামে খাটি মুসলিম কিন্তু আচরণে জারজ মুসলিম

শনিবার, ৮ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪

মাকে হত্যা করে বিশেষ অংশ ভক্ষন....

মাকে হত্যা হত্যা তারপর ক্ষতবিক্ষত করে শরীরের বিশেষ অংশ খেয়ে ফেলেছে তার তিন সন্তান। ঘটনাটি ঘটেছে ফিলিপিনে। তদন্ত করতে গিয়ে পুলিশ জানতে পারে যে তার ছেলেরাই তাকে হত্যা করেছে। কিন্তু ঐ তিন সন্তান মাকে হত্যার অভিযোগ অস্বীকার করতেছে । তারা বলতেছে মায়ের বিশেষ অসুখ হয়েছিল তার জন্য মায়ের এমন অবস্থা হয়েছে । পুলিশ জানায় তাদের পরিবারে মানসিক ভারসাম্যহীনতার অতীত ইতিহাস আছে । যাই হোক এধরনের হত্যাকান্ড জন্তু-জানোয়ারতুল্য।

শুক্রবার, ৭ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪

amitabh bachchan says....

1.August has the highest percentage of births, unless food mixed with saliva you can't taste it, average person falls asleep in 7 min
2. Somewhere in the middle of the day, you realise its work that keeps you going, not otherwise..how else does one answer queries !

ক্রিকেটপ্রেমী বন্ধুদের বলছি

ভারত খুবই হিংসাপরায়ন দেশ। তারা আমাদের প্রতিবেশী দেশ হওয়া স্বত্ত্বেও আমাদের টেস্ট খেলার অধিকার কেড়ে নিতে চায়। তারা তাদের সুবিধাথে যা ইচ্ছা তাই করে। বিসিসিআই আমাদের দলকে তাদের দেশে হোস্ট করে না। অথচ তাদের উচিত আমাদের ক্রিকেটের উন্নয়নে ভুমিকা রাখা। তারা সেটা না করে বরং বাংলাদেশের ক্রিকেট ধ্বংসের পায়তারা করছে। কিছু কিছু ভারতীয় খেলোয়াড় বাংলাদেশকে নিযে উপহাস করেছে, যা কোন অবস্থাতেই কাম্য নয়। আমার এটা বলার কারণ হলো কিছু বাঙ্গালি ভারতকে অকুন্ঠচিত্তে সমথর্ণ করে। দয়া করে দেশের ক্রিকেটের স্বাথে ঐক্যবদ্ধ হোন, দেশের ক্রিকেটকে বাচান।

বৃহস্পতিবার, ৬ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪

ওয়ালটন সম্পর্কে

ওয়ালটন বাংলাদেশের পণ্য ভাবতেই গর্ববোধ হয়। আমরা সত্যিই গর্বিত। আমি সকল বাঙালিকে আহ্বান করব দয়া করে দেশীয় পণ্য ব্যবহার করুন দেশের উন্নয়নে অবদান রাখুন এবং দেশপ্রেমের পরিচয় দিন।

ফুটবলপ্রেমিদের উদ্দেশ্যে এই লেখা



ফুটবল বিশেষজ্ঞদের বিবেচনায় পেলে সর্বকালের সেরা খেলোয়াড়। আর দর্শকদের বিবেচনায় ম্যারাডোনা সর্বকালের সেরা খেলোয়াড়। কিন্তু আমরা জানি দর্শকরা প্রায় সময়ই আবেগের বশে সিদ্ধান্ত দিয়ে থাকে। পেলে যা করেছেন তা ম্যারাডোনার পক্ষে সম্ভব হয়নি, কখনো হত না, কারণ পেলের প্রতিভা ম্যারাডোনার মধ্যে ছিল না্। সেটা আপনি মানেন বা না মানেন তাতে কিছু আসে যায় না। রোনালদো সিনিয়র অলস কিন্তু কৌশলী। গোল কিভাবে দিতে হয় সম্ভবত তার চেয়ে বেশী খুব কম খেলোয়াড়ই জানে। তার সময়ের তার সমকক্ষ খেলোয়াড় ছিল জিনেদিনে জিদান। বর্তমানে মেসিকে সবর্কালের সেরা খেলোয়াড় বলা হচ্ছে। অথচ তার ঝুলিতে কি আছে সেটা আর কেউ দেখে না। যে খেলোয়াড় নিজের দেশকে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন বানাতে না পারে তাকে আর যাই বলুক সর্বকালের সেরার মধ্যে গণ্য করা যায় না। যেটা ম্যারাডোনা , পেলে, জিদান, রোনালদোরা করেছেন। যদি তাই হতো তবে রিয়াল মাদ্রিদের আলফ্রেডো ডি স্টেফানো সর্বকালের সেরা খেলোয়াড় হতো, কারণ ক্লাবের সাফল্যে বাকী সবাই অনেক পিছিয়ে। কিন্তু তার নাম অনেকেই জানে না।মেসি যদি হয় গ্রেট, তবে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো বেস্ট। আর রোনালদিনহো হল ফুটবলের জাদুকর, যে ফুটবলটাকে যেরকম ইচ্ছা সেরকম করতে পারে। মেসির ড্রিবলিং, টেকনিক, অসাধারণ বুঝার ক্ষমতা সবাইকে মুগ্ধ করে। ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর অসাধারণ ড্রিবলিং, টেকনিক, শক্তি, গতি এবং অসাধারণ বুঝার ক্ষমতা এককথায় গ্রেট ফুটবলার হবার জন্য সব গুণ তার মধ্যে বিদ্যমান। তাই বলছি মেসি সেরা কিন্তু রোনালদো তার চেয়ে সেরা। মেসি যদি বার্সেলোনা ছেড়ে ইংলিশ ক্লাবে যান এবং সেখানে একই সাফল্য দেখাতে পারেন, তখন এককথায় মানতে বাধ্য হব-মেসি-ই সেরা।